রঞ্জিত ঘোষ , গঙ্গাজলঘাঁটি , ৩০ জানুয়ারী: কথিত আছে 'বাঙালীর বার মাসে তেরো পার্বণ' । আর এই তেরো পার্বণের একটি অংশ হিসেবে , আমোদবিলাসী বাঙালীদের কাছে গতকাল ছিল এক বিশেষ দিন অর্থাৎ সরস্বতী পুজো । যুগান্ত ধরে সঙ্গীত ও বিদ্যার দেবী রূপে সরস্বতী বা বাগদেবী পূজিত হয়ে আসছে বাংলার সংস্কৃতিতে । কালো মেঘের চোখ রাঙানী ও বৃষ্টির ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করেই বাঁকুড়া জুড়ে সমারোহে পালিত হল সরস্বতী পূজো । এগুলির মধ্যে অন্যতম হল গঙ্গাজল ঘাঁটির শালীয়াড়া গ্রামের একটি পূজো মণ্ডপ ।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় , প্রায় শতবছরেও আগে নাকি , এই শালীয়াড়া গ্রামে পড়েছিল কলেরার প্রকোপ । প্রিয়জন হারানোর ব্যাথায় বাড়ি বাড়ি কান্নার রোল পড়েছিল । তার পর গ্রামবাসীরা স্মরণ নেয় দেবী সরস্বতীর চরণে । এর ফলে কলেরার প্রকোপ কিছুটা পশমিত হয় । এবং শুরু হয় সরস্বতী পূজো । পাশাপাশি একই সঙ্গে পূজিত হয় দেবীলক্ষী ও দেবীভগবতী । পূজোর জন্য শুরু হয় পরিবার পিছু (প্রতি লাঙল পিছু ) দেড় শলী (অর্থাৎ ত্রিশ সের) করে ধান আদায় । যা দিয়ে নির্বাহ করা পূজোর ব্যয় । এভাবেই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে প্রাচীন রীতি মেনেই এখানে পূজিত হয় দেবী সরস্বতী, লক্ষী ও দেবী ভগবতী । সামিল হয় আট থেকে আশি সকালে ।
তবে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে এবং বিনোদনের স্বাদ গ্রহণের জন্য দুইদিন ব্যাপী রয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।
আপনার মতামত
উত্তরমুছুন