দামোদরের তীরে ঐতিহ্যবাহী মকর সংক্রান্তির মেলা
১৫ই জানুয়ারি, রানীগঞ্জ, মলয় সিংহ (স্টাফ রিপোর্টার):- পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতির এক বিশেষ উৎসব। বাংলার পৌষ মাসের শেষ দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন বিভিন্ন জায়গায় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে,তার মধ্যে পিঠে খাওয়া,ঘুড়ি ওড়ানো অন্যতম। সারাদিন ঘুড়ি ওড়ানোর পরে সন্ধ্যায় বাজি বা ফানুস উড়িয়ে উৎসবের সমাপ্তি হয়। এই উৎসব পিঠে পুলি উৎসব নামেও পরিচিত।
দামোদর নদের মেজিয়া ও বল্লভপুরের ঘাটে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় মকর সংক্রান্তির মেলা হয়। এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ- দামোদর নদে মকর স্নান।তাই এই দিন মেজিয়া, বল্লভপুর ও মথুরাচন্ডীর ঘাটে নানান মানুষের সমাগম ঘটে। এই মেলা পুণ্যকামী, সহজ সরল মানুষের মেলা। এখানে দেখা যায় নানা পোশাকে মানুষের বিচিত্র সমবেশ। বৈচিত্র তাদের খাওয়া দাওয়া,আদব কায়দা,ভাষাতেও।
প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির তিথিতে মকর স্নান উপলক্ষে বসে এই মেলা। তার সঙ্গে চলে মা মথুরাচন্ডী ও মা শশ্মান কালীর পূজো আর্চনা ও সারা দিন ব্যাপী নরনারায়ন সেবা এবং চলে পালা কীর্তন সহ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। মূলত এই মেলা ৩ দিনের। সংক্রান্তির দিন মকর স্নান, ১ লা মাঘ মাঘী স্নান ও ২রা মাঘ ভাঙামেলা। অন্য সব মেলার মতো এই মেলাতেও সাধু সন্ন্যাসীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পুণ্য সঞ্চারই এই মেলার প্রধান লক্ষ্য তাই বিনোদের দিকটা বিশেষ গুরুত্ব পায় না। অন্য সব মেলার মতো এই মেলাতেও থাকে নাগরদোলা, রেস্তোরাঁ সহ নানান ধরনের দোকানদানি । জনসংখ্যার দিক থেকে মেজিয়া রানীগঞ্জের অন্য সব মেলাগুলির মধ্যে এই মেলা অন্যতম। প্রতি বছর এখানে প্রায় ১০ - ১৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।।
News 7 Mejia
Staff Reporter - Malay Singha
১৫ই জানুয়ারি, রানীগঞ্জ, মলয় সিংহ (স্টাফ রিপোর্টার):- পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বাঙালি সংস্কৃতির এক বিশেষ উৎসব। বাংলার পৌষ মাসের শেষ দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন বিভিন্ন জায়গায় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে,তার মধ্যে পিঠে খাওয়া,ঘুড়ি ওড়ানো অন্যতম। সারাদিন ঘুড়ি ওড়ানোর পরে সন্ধ্যায় বাজি বা ফানুস উড়িয়ে উৎসবের সমাপ্তি হয়। এই উৎসব পিঠে পুলি উৎসব নামেও পরিচিত।
দামোদর নদের মেজিয়া ও বল্লভপুরের ঘাটে এই দিনটিকে ঘিরে ঐতিহ্যময় মকর সংক্রান্তির মেলা হয়। এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ- দামোদর নদে মকর স্নান।তাই এই দিন মেজিয়া, বল্লভপুর ও মথুরাচন্ডীর ঘাটে নানান মানুষের সমাগম ঘটে। এই মেলা পুণ্যকামী, সহজ সরল মানুষের মেলা। এখানে দেখা যায় নানা পোশাকে মানুষের বিচিত্র সমবেশ। বৈচিত্র তাদের খাওয়া দাওয়া,আদব কায়দা,ভাষাতেও।
প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তির তিথিতে মকর স্নান উপলক্ষে বসে এই মেলা। তার সঙ্গে চলে মা মথুরাচন্ডী ও মা শশ্মান কালীর পূজো আর্চনা ও সারা দিন ব্যাপী নরনারায়ন সেবা এবং চলে পালা কীর্তন সহ সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। মূলত এই মেলা ৩ দিনের। সংক্রান্তির দিন মকর স্নান, ১ লা মাঘ মাঘী স্নান ও ২রা মাঘ ভাঙামেলা। অন্য সব মেলার মতো এই মেলাতেও সাধু সন্ন্যাসীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পুণ্য সঞ্চারই এই মেলার প্রধান লক্ষ্য তাই বিনোদের দিকটা বিশেষ গুরুত্ব পায় না। অন্য সব মেলার মতো এই মেলাতেও থাকে নাগরদোলা, রেস্তোরাঁ সহ নানান ধরনের দোকানদানি । জনসংখ্যার দিক থেকে মেজিয়া রানীগঞ্জের অন্য সব মেলাগুলির মধ্যে এই মেলা অন্যতম। প্রতি বছর এখানে প্রায় ১০ - ১৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।।
Staff Reporter - Malay Singha