করোনা সংগ্রামে মেজিয়ার দুঃস্থ মানুষের নয়নের মনি "আশার আলো"।

Malay Singha
1 minute read
0
মলয় সিংহ, তথ্যকারি বাঁকুড়া:- আমরা কখনও ভাবিনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে কখনও। এক অদৃশ্য জীবাণুর কবলে পড়ে সমগ্র বিশ্ববাসীর পাশাপাশি আমরা সকলেই হয়ে যাব গৃহবন্দি। হঠাৎই থমকে যাবে সভ্যতার চাকা। কিন্তু ভাবনার অতীত সেই পরিস্থিতিটাই আজকের কঠিন বাস্তবতা। স্তব্দ্ধ হয়ে গিয়েছে জাগতিক কলরব। জীবনের আনন্দ আজ দমবন্ধ হয়ে আসছে অজ্ঞাত আতঙ্কের গ্রাসে। সমস্ত বাহুল্য, সব বিলাসিতা ত্যাগ করে বেঁচে থাকাটাই যেন আজ মনুষ্যজীবনের মূল লক্ষ্য। কিন্তু বেঁচে থাকতে গেলে তো জরুরি বেঁচে থাকার রসদ। দীর্ঘ লক ডাউনে যাদের ঘরে রয়েছে অন্ন, তাদের কথা ভিন্ন। যাদের সঞ্চয় রয়েছে তারা রয়েছে নির্ভাবনায়। কিন্তু দিনমজুরির ভিত্তিতে খেটে খাওয়া অসংখ্য সাধারণ মানুষ? যাঁরা অকস্মাৎ কাজ হারিয়েছেন দেশজোড়া সহসা জারি হওয়া এই জরুরি অবস্থায়? অসংগঠিত ক্ষেত্রে খেটে খাওয়া পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের ওপর নির্ভর করে যে পাঁচ সাতটি পেট? কী হবে তাদের এখন? অনাহার, অর্ধাহারের ভয় তো করোনার আতঙ্কের চেয়েও কম কিছু নয়। মানুষ এতো লড়াই করে যাচ্ছে শুধুমাত্র একটু বাঁচার আশায়,কেউ পারছে কেউ আবার পারছেনা। তাই এই সংকটময় পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বাঁকুড়া জেলার মেজিয়া এলাকার "আশার আলো চ্যারিটেবল্ ফাউন্ডেশন"সেই সমস্ত দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে তারা পৌঁছে দিচ্ছে ঐ অসহায় মানুষগুলোর জন্য সাধ্য মতো খাদ্যসামগ্রী যাতে তারা দুবেলা দুমুঠো খেতে পায়। "আশার আলো চ্যারিটেবল্ ফাউন্ডেশন"এর পক্ষ থেকে সৌরভ দে বলেন -এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষগুলোর জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার সাহস পুঞ্জিত করতেই আমাদের এই প্রয়াস। এখনো পর্যন্ত তারা ১৫০ টিরও বেশি অসহায় পরিবারকে সাহায্য করেছে এবং আগামী দিনেও করে যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)