"মানুষ মানুষের জন্য" । আজ দেশের সমস্ত দিকে lockdown । Hospital গুলোতে রক্তের প্রয়োজনের মাত্রা কম হয়ে আসছে।কারণ জনসংখ্যা একটা জায়গায় বাড়তে দেওয়া যাবে না। তাই Mini Camp ,
জীবন সুরক্ষা র Blood Donation Camp এ হ্যান্ড ওয়াস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার , রুম স্যানিটাইজার , বিপি চেক থেকে শুরু করে weight মাপা , সমস্ত পরীক্ষা করে রক্ত দান শিবির এ রক্ত দান করার ছবি ফুটে উঠেছে আসানসোল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
রক্ত সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে আসানসোল 'জীবন সুরক্ষা ব্লাড ব্যাংক' অনুষ্ঠিত করছে মিনি ব্লাড ক্যাম্প । তাদের ভাষায় - ""
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিঃসন্দেহে এই সময় প্রত্যেকের মনে ভীতির সঞ্চার করেছে...কয়েকটি দেশে এর ভয়াবহতা গোটা বিশ্বের ন্যায় আমাদেরও আতঙ্কিত করে রেখেছে....
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে সাবধানতা, কিছু সতর্কতা মেনে চললে এই সংক্রমণের প্রতিরোধ সম্ভব...তবে এরজন্য মানুষকে সঠিকভাবে সচেতন হতে হবে,অযথা ভূল বার্তা ছড়িয়ে পড়লে তার ফলাফল সমাজের বিভিন্ন স্তরে আরও প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে.....
যেমন Work from home বলা হলেও সব ধরনের কাজ বাড়ি থেকে সম্ভব নয়... অন্যান্য কাজের কথা ছেড়েই দিলাম, ডাক্তার,নার্স,প্যাথোলজিস্ট,টেকনিশিয়ান, স্বাস্থ্য কর্মীরা নিজেদের কাজ সচেতনতা ও দায়িত্বের সাথে করে চলেছেন বলেই করোনামুক্ত দিনের কথা আমরা ভাবতে পারছি...আক্রন্তরা চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন....
ঠিক একই রকম ভাবে যারা স্বেচ্ছায় রক্তদান করে, রক্তদান শিবিরের আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিমুহূর্তে বাঁচিয়ে রেখেছেন অগণিত থ্যালাসেমিয়া শিশুদের,নিয়মিত ডায়ালিসিস বা কেমোথেরাপি নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে,তারা যদি আজ নিজেদের গৃহবন্দী করে ফেলেন তাহলে আমরা আর এক মহামারীর মুখোমুখি হব যা ঘটবে রক্তের অভাবে......যার জন্য কোনো বিদেশী ভাইরাসের দরকার হবেনা...
সেটা আমরা মেনে নিতে পারবো তো????
আর একটা পথ কিন্তু খোলা আমাদের সকলের সামনে....
যেভাবে যেকোনো মহামারী /বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে আমাদের ডাক্তার,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা, সেনার জওয়ানরা, স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেরা প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করে সচেতনভাবে নির্ভীক চিত্তে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে মানবসমাজের রক্ষায়....আসুন না আমরাও যারা সারাবছর শিবির করে,স্বেচ্ছারক্তদানের মাধ্যমে অব্যাহত রাখি রক্তের যোগান তারা সবাই মিলে জমায়েত বা ভিড় বর্জিত ছোটো ছোট রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে তাতে 2 মিটার দূরত্বে শয্যা বিছিয়ে রক্তদান করে জীবনদায়ী রক্তের যোগান অব্যাহত রাখি...শিবিরে হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার রাখুন... জ্বর সর্দি কাশি থাকলে রক্তদান শিবিরে আসা থেকে নিজেকে কিছুদিন বিরত রাখুন, করোনা সতর্কীকরন নিয়ম মেনে দায়িত্ববান নাগরিক হিসাবে
একই সাথে এইভাবে আসুন না আমরা একটু সচেতনতা,সাবধানতা, ও মানবতার সাথে "করোনা ভাইরাস " ও "রক্তের অভাবজনিত মৃত্যু" - এই দুয়ের প্রতিরোধ করি.....
চাই একটু সচেতনতা,একটু মানবতা....
নিজে ভালো থেকে অন্যকে ভালো রাখি...চলুন সতর্কতার সাথে রক্তদান করি.....""
আজ কে তাদের শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে -